• সোমবার, মে ১২, ২০২৫

logo-Left নওহাটা পৌরসভা, রাজশাহী ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর

ভৌগলিক তথ্য

বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমে বরেন্দ্র ভূমি রাজশাহী জেলার অর্ন্তগত ফলমুল আর কৃষি সমৃদ্ধ উপজেলা পবা।

ভৌগলিকভাবে এ উপজেলা ২৪.২৩ থেকে ২৪.৩২ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৪০ থেকে ৮৮.৫২ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।

সমৃদ্ধ কৃষি আর ইতিহাস- ঐতিহ্যপূর্ণ পবা উপজেলাটি রাজশাহী জেলা শহর হতে ৬ কিলোমিটার দক্ষিণ কোণেঅবস্থিত।

নওহাটা প্রাকৃতিক দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম ও বৈচিত্র্যময়। এখানকার ভূ-প্রকৃতি প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত। যথা ঃ দিয়াড় ও বরেন্দ্র অঞ্চল। স্থানীয় লোকেরা এই দুই অঞ্চলকে দিয়াড় ও বরিন্দ বলে থাকেন। দিয়াড় এলাকা প্রায় সমতল। অন্যদিকে বরিন্দ অঞ্চল উঁচু নিচু গিরি মাটি সম্বলিত। বরিন্দ অঞ্চলের মাটি লাল। সাধারণত পদ্মা নদী পশ্চিম পার্শ্বের অঞ্চলই দিয়াড় অঞ্চল নামে পরিচিত। গঙ্গা নদীর স্রোতধারা বারংবার পরিবর্তনের ফলে এই অঞ্চলের উৎপত্তি। এই অঞ্চলের মাটি খুবই উর্বর। এই অঞ্চলে হৈমন্তী ফসল ছাড়া আউশ ও বোরো ধান এবং কিছু কিছু পাটও উৎপন্ন হয়। জেলার বেশীর ভাগ আম বাগান এখানে অবস্থিত। তাছাড়াও অন্যান্য গাছ-গাছালিও এই এলাকায় বেশী দেখতে পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, এককালে নীল ও রেশম এর জন্যেও এই এলাকা প্রসিদ্ধ ছিল। আজও দেশের সিংহ ভাগ রেশম উৎপাদিত হয় নওহাটা তথা পদ্মা পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত রাজশাহী ও গোদাগাড়ী উপজেলায়। ভূ-প্রকৃতি অনুসারে মহানন্দা নদীর পূর্বে পার্শ্বে বরেন্দ্র অঞ্চল অবস্থিত। এই অঞ্চলে রয়েছে সুবিস্তীর্ণ ধান্যভূমি। চিনি আতব, দাদখানি, সোনাকাঠি, কার্তিক সাইল , রাঁধুনি পাগল, রঘুসাইল প্রভৃতি এই অঞ্চলের বিখ্যাত ধান। রাজশাহী ও নবাবগঞ্জ নিয়ে বরেন্দ্র অঞ্চল গঠিত। এই সব জমিতে আমন ধান জন্মে, কেবল ডাঙ জমিতে আউশ ধান, পাট ও চৈতালি ফসল জন্মে। এই অঞ্চলের মাটি বিভিন্ন ধরণের। ‘দো-আঁশ, মাটিয়াল, বাইন্তা, রাঙামাটি প্রভৃতি। কাঁদা, বালি রঙ প্রভৃতির সংমিশ্রণের অনুপাতে এই সকল নামের উৎপত্তি হয়েছে। কৃষিকাজের দিক দিয়ে এ জেলার মাটিকে মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা ঃ পলি অঞ্চল ও বরেন্দ্র অঞ্চল।

ক) দিয়াড় অঞ্চল
খ) গৌড় অঞ্চল
গ) বিল অঞ্চল
ঘ) কান্ধি অঞ্চল
ক) দিয়াড় অঞ্চল ঃ নওহাটা সদর ও পবা উপজেলা বেশ কিছু অংশ জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা দিয়াড় অঞ্চল। প্রতিবছর বন্যায় এই সকল অঞ্চল ডুবে যায়। এ অঞ্চলে আউশ ধান, পাট, চীনা, কাউন, শ্যামা, কোদা, এবং দো-ফসলা হিসেবে প্রচুর পরিমাণে কলাই জন্মে।
খ) গৌড় অঞ্চল ঃ নওহাটা ও পবা উপজেলার বেশ কিছু অংশ জুড়ে রয়েছে গৌড় অঞ্চল। ই¶ু, আউশ ধান, পাট, হলুদ, তুত, ভুট্টা ও রবি ফসল এখানে জন্মে থাকে।
গ) বিল অঞ্চল ঃ বিল অঞ্চল বলতে নওহাটা সদর, মোহনপুর, দামকুড়া, কাটাখালী ও কেশরহাট উপজেলার বিল ও বিল সংলগ্ন এলাকাকে বুঝায়। আমন, আউশ ধান, পাট, ই¶ু এবং দো-ফসলা হিসেবে এ অঞ্চলে রবি শস্যা উৎপন্ন হয়ে থাকে।
ঘ) কান্ধী অঞ্চল ঃ বারনই নদীর দুই পাড়কে কান্ধী অঞ্চল বলা হয়ে থাকে। আউশ ধান, পাট, ই¶ু এবং দো- ফসলা হিসেবে এ অঞ্চলে রবিশস্য উৎপন্ন হয়ে থাকে।

আবহাওয়া ও জলবায়

<জেলায় জলবায়ু চরমভাবাপন্ন। শীতের সময় এখানে প্রচন্ড শীত, আবার গ্রীষ্মের সময় প্রচন্ড গরম। এখানকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪০-৪৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ৫-৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫৯৮.৩০ মিলিমিটার।
নওহাটা পৌরসভা বারনই নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত। নওহাটা পৌরসভার কিছু অংশ নিচু এবং প্রতির¶া বাঁধ না থাকায় অতি বর্ষনে এবং বন্যার সময় এক তৃতীয়াংশ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। তাছাড়া এলাকায় উল্লেখযোগ্য পরিমানে ছোট বড় জলাশয় না থাকায় এবং শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত প্রাকৃতিক নালা, খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে এলাকায় সঠিকরূপে পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নিম্নোক্ত ছক থেকে বুঝা যাচ্ছে যে রাজশাহী জেলার পবা উপজেলায় মে মাস থেকে বর্ষাকাল শুরু হয় এবং সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দৈনিক হিসাবে বেশী দিন বৃষ্টিপাত হয় যাতে এই এলাকায় কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

নদ-নদী ও বিল
বারনইঃ পদ্মা পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে রাজশাহী তথা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমারেখা নির্ধারণ করেছে। এই নদী রাজশাহী জেলার দ¶িণ দিক দিয়ে প্রবাহিত। রাজশাহী জেলার নওহাটা পৌরসভার মাঝ দিয়ে বারনই নদী প্রবাহিত হয়েছে । বর্ষাকালে এই নদীর অবয়ব জলরাশি বৃদ্ধি পায় এবং ¯^াভাবিক কারণেই এর কিছু প্রভাব রাজশাহী জেলায় প্রতিফলিত হয়। প্রতি বছরই অল্প বিস্তার জমি নদীর করাল ¯্রােতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এবং পুনরায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা ও বিল। বারনই বিধৌত ও পলি মাটিপুষ্ট এই সকল চরে ধান, পাট, কাউন, ভুট্টা প্রভৃতি ফসল প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়। এই কারণে মানুষ এসব নদীর দুই ধারে গিয়ে জমি নিয়ে নতুন করে বসতি স্থাপন করে। উজানে ফারাক্কা বাঁধ নির্মিত হওয়ার পর থেকে পদ্মায় পানি প্রবাহ কমতে থাকে এবং বিশাল চর জেগে উঠতে থাকে। বর্তমানে পদ্মা তার পূর্বেকার রূপটি হারিয়ে ফেললেও প্রতিবছর বর্ষাকালে সে প্রলয়ঙ্কারী রূপ ধারণ করে।
মহানন্দাখালীঃ রাজশাহী জেলার নওহাটা পৌরসভাধীন ২য় প্রধান নদী মহানন্দাখালী। ৫০ মাইল দীর্ঘ মহানন্দাখালী নদীর প্রায় ৫০ মাইল এই জেলায় রয়েছে। পদ্মা নদীর পাদদেশে এর উৎপত্তি।

নওহাটা পৌরসভার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার বিবরনঃ

নওহাটা পৌরসভার বেইজ লাইন সার্ভে তথ্যানুযায়ী এখানে ৩০০৩ টি খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র এবং ৩০৯ টি পাইকারী বিক্রয় কেন্দ্র, ¶ুদ্র ও কুটির শিল্প (বিনিয়োগ ৪০,০০০ টাকার কম) ২১টি, হস্তশিল্প ¶ুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তা (SME) (৪০,০০০-৫০,০০০ টাকা) ১২টি, বড় শিল্প (বিনিয়োগ ৫,০০,০০০ টাকার উপরে) ১টি অটোরাইস মিল রয়েছে। নওহাটা পৌরসভার মধ্যে বরফ কল রয়েছে ০২টি, রাইস/ ফ্লাওয়ার মিল রয়েছে ৩৫টি, কাঠ ফাঁড়া মিল রয়েছে ১২টি, তেল মিল রয়েছে ১৭টি, পল্ট্রি ফার্ম রয়েছে ৩৯টি ডেইরী ফার্ম রয়েছে ১১টি এবং কোল্ড ষ্টোরেজ রয়েছে ০৯ টি। অন্যান্য সুবিধাদির মধ্যে শাহমখদুম এয়ারপোর্ট রয়েছে। যেখান থেকে প্রতিদিন রাজধানী, আন্তঃজেলা ও অভ্যন্তরীণ রুটে প্রায় ২০০টি ছোট বড় বাস চলাচল করে। নওহাটা পৌরসভায় মধ্যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ্, ডাকঘর, সেলফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা রয়েছে।

অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ১০০% বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও আবাসিক সংযোগ রয়েছে ৯৫% পরিবারে। স্বাস্থ্য সেবার জন্য ০৫টি বেসরকারী হাসপাতাল/ক্লিনিক, সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র ০১টি, বে-সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র/ চেম্বার রয়েছে ১০টি, চ¶ু হাসপাতাল ০১টি । পৌরসভা কর্তৃক পরিচালিত কোন স্বাস্থ্য কেন্দ্র নাই। ফোকাস গ্রæপ ডিসকাশন ও ওয়ার্ড ভিশনিং অনুশীলন থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবনায় ওয়ার্ড ভিত্তিক পৌরসভা কর্তৃক পরিচালিত আধুনিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপনের দাবি রয়েছে। এখানে শিক্ষা সেবার জন্য ১৮টি সরকারী ও ০১টি রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ০৮টি মাদ্রাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ০৮টি তার মধ্যে ০২টি সরকারি এবং ০৭টি বেসরকারি, ৪টি মহাবিদ্যালয় এর মধ্যে ০১টি সরকারি, ০৩টি বেসরকারি এবং ১টি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নওহাটা পৌর এলাকায় ০৯টি ব্যাংক রয়েছে এর মধ্যে ০৪টি সরকারি ও ০৫টি বেসরকারি। এছাড়া নওহাটা পৌর এলাকায় ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৭টি এবং সঞ্চয়ী ঋণ দলের সংখ্যা রয়েছে ৪৪টি। নওহাটা পৌর এলাকায় প্রায় ২২টি এনজিও কাজ করছে। দু’ একটি বাদে সকল এনজিও ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

প্রশাসক
---------------------------
বিস্তারিত
নির্বাহী প্রকৌশলী
Chief Executive Officer. মোঃ শাহজাহান আলী
বিস্তারিত

Govt. Forms

কেন্দ্রীয় ই-সেবা

গুরুত্বপূর্ণ লিংক

মোট পরিদর্শক

32441
Visit Today : 60
Visit Yesterday : 81
This Month : 891
Total Visit : 32441
Total Hits : 189771

সাইটটি শেষ হাল-নাগাদ করা হয়েছে:   13-02-2025 08:08:28

    • সামাজিক যোগাযোগ
    •  
    •  
    •  
  • ডিজাইন & ডেভেলপড বাইঃ এফএলআইটিঃ ০১৮৭২৭৮৮৫৯২ / ০১৭২৯৭২৪২৩২