আর্থ সামাজিক তথ্য

কতিপয় অংশগ্রহনমূলক হাতিয়ার (Participatory Tools) ব্যবহার করে আর্থ-সামাজিক জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হয়। নওহাটা পৌরসভার আর্থ-সামাজিক অবস্থা সমী¶ার জন্য যে সকল হাতিয়ার ব্যবহার করা হয়েছে তা নিম্নরূপঃ

• বেইজ লাইন সার্ভে
• ফোকাস গ্রæপ ডিসকাশন (FGD)

বেইজ লাইন সার্ভে

• পৌর এলাকায় সরবরাহকৃত পানিতে আয়রন ও আর্সেনিক বিদ্যমান রয়েছে।
• পানির প্রধান উৎস ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়া এবং প্রকৃতগতভাবে ভূ- গভূস্থরে ২০০ফুট-২৩০ফুট নীচে কঠিন শিলা স্তর থাকায় বেশী গভীরতা হইতে পানি উত্তোলন সম্ভব না হওয়ায় পানি সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে।
• পৌর এলাকায় সরবরাহকৃত পানির রঙ বাদামী এবং আঠালোযুক্ত।
• সমস্ত এলাকায় নলবাহিত পানি সরবরাহ নেই।
• লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে নিয়মিত পানি সরবরাহে বিঘœ ঘটে।

পরিবার জরিপ

পৌরবাসীদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা পৌরসভার অন্যতম দায়িত্ব। জরিপে অংশগ্রহণকারী খানার ১৫% পৌরসভার পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সেবা নিয়েছে। পৌরসভার সরবরাহকৃত পানি সবসময় থাকে বলে জানান মাত্র ৪৭.৫০% খানা, অধিকাংশ সময় থাকে বলে জানান ৩৭.২০% খানা, মোটামুটি সময় পানি থাকে বলে জানান ৮.৭% খানা, খুব কম সময় থাকে বলে জানান ৫.৮% খানা এবং কখনো থাকে না জানান ০.৮% খানা।

পৌরসভার কর্তৃক সরবরাহকৃত পানির মানের ক্ষেত্রে জরিপকৃত ৩০.৩% খানার মতে পানির মান ভালো, ৩৪.৩% খানার মতে পানির মান মোটামুটি ভালো এবং ৩৫.৪% এর মতে পানি ঘোলা/পানিতে দুর্গন্ধ রয়েছে। পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে অসন্তুষ্ট জানিয়েছেন ৪১% খানা এবং সন্তুষ্ট ৩২.৪% খানা। চিত্র- ৩ এ নওহাটা পৌরসভার নাগরিকদের পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টির মাত্রা নেয়া দেখানো হয়েছে।

ফোকাস গ্রæপ ডিসকাশন (FGD)

(১) পৌর এলাকায় সরবরাহকৃত পানিতে মাত্রারিক্ত আর্সেনিক ও আয়রণ থাকায় ব্যবহারকারীরা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় এবং পানির রঙ বাদামী এবং আঠালোযুক্ত হওয়ায় রান্না ও গোসলে ব্যবহার করতে সমস্যা হয়।
(২) পৌরসভা কর্তৃক সরবরাহকৃত পাইপ লাইনে পানির চাপ কম থাকায় সকল স্থানে ¯^াভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত হয় এবং পৌরসভা কর্তৃক সাপ্লাই পানি নাগরিকদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
(৩) নওহাটা পৌরসভার প্রায় ৮৫% এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নেই এবং যে ১৫% এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে তা মান সম্মত নয়।
(৪) বিদ্যুতের লোড শেডিং এর কারনে নিয়মিত পানি সরবরাহে বিঘœ ঘটে।
(৫) শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত নলকুপে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় না, ফলে পানির সমস্যায় এলাকাবাসী পতিত হয়। এছাড়া খরা মৌসুমে ডিপ টিউবওয়েল এর কারণে হস্তচালিত টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যায় না।
(৬) শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য দরিদ্র এলাকায় পৌরসভা কর্তৃক পর্যাপ্ত সরবরাহ ব্যবস্থা নাই।

প্রধান প্রধান পরামর্শঃ

• নদীর পানি পরিশোধন করার জন্য আধুনিক পানি পরিশোধনাগার স্থাপন
• আর্সেনিক ও আয়রণ রিমুভ্যাল প্ল্যান্ট স্থাপন
• সমগ্র পৌরসভা এলাকায় মানসম্মত পানি সরবরাহ নিশ্চিত
• নিজস্ব জেনেরেটরের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা
• দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ক্লাষ্টার ও বস্তিতে পর্যাপ্ত হস্তচালিত নলকুপ, কমিউনিটি ট্যাপ স্থাপন
• পানির অপচয় রোধকল্পে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচী গ্রহণ
• ১০০% ওয়াটার মিটার পদ্ধতি চালু
• বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে পানযোগ্য বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্ট স্থাপনের ব্যবস্থা